১৯৭১ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের সানডে টাইমসে প্রকাশিত ‘Genocide’ প্রতিবেদন বিশ্ববাসীর সামনে পাকিস্তানের গণহত্যার ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত করে। এই প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়ায় এবং ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করে। কিন্তু সত্য প্রকাশের জন্য মাসকারেনহাসকে পরিবারসহ পাকিস্তান থেকে
২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে ‘প্রতীকী ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত (১ মিনিট) এ প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হয়।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্বপরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে মানুষের মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আজকের রাতে রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা
আজ ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এদিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসই তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন।
জাতীয় ঐক্যের কথা বলতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কার বিরুদ্ধে ঐক্য এবং কিসের জন্য ঐক্য। কার বিরুদ্ধে ঐক্য সেটা একাত্তর সালে আমরা জানতাম, ঐক্য ছিল পাকিস্তানি শোষকের বিরুদ্ধে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার জন্য ঐক্য। এখন ওই ঐক্য নেই। এখন প্রতিটি মানুষ কেবল নিজের সমৃদ্ধি নিয়ে ভাবছে। নিজের স্বার্থ দেখ
ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ঘোষণা করে। এই দিনটি শুধু বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতার নয়, একটি জাতির আত্মমর্যাদা, সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
আগামীকাল ১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভূরুঙ্গামারী দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টরের সাহেবগঞ্জ সাবসেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে একযোগে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র যুদ্ধচলাকালীন ফুটবল দল হলো ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানি হানাদারেরা বাংলার নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন করছিল, তখন এই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের কলকাতাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রদর্শনী ফুটবল খেলে জনমত গঠনের চেষ্টা করেছিল। পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করেছিল। প্রায়
অপারেশন সার্চলাইট নামের নীলনকশা অনুযায়ী একাত্তরের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অতর্কিত হামলে পড়েছিল নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। নির্বিচারে শুরু করেছিল তারা গণহত্যাসহ মানবতা-বিরোধী অপরাধ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই (২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে) ব
২৫ মার্চ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছি। এটি কারও দয়ার দান নয়। কোনো সামরিক জান্তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি।’
১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও এর দুই দিন পর মুক্তির স্বাদ পান নওগাঁবাসী। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নওগাঁ। এদিন প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা নওগাঁয় যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই মুক্ত ছিল নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার গাগলাজুর ইউনিয়ন। সিলেট-ভৈরব নৌপথসংলগ্ন এলাকাটিতে প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা আসার আগেই পাকিস্তানি সেনারা হানা দিতে চেষ্টা করেছিল। তবে সেই চেষ্টা বিফল হয়ে যায় গোলাম রব্বানী চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে।
একাত্তরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পরাজয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ৬ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় মিত্রবাহিনী মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ শুরু করলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক হানাদার ঘাঁটির পতন হতে থাকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক মুখপাত্র
যশোর মুক্ত হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় ১১ ডিসেম্বর শহরের টাউন হল মাঠে জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সেই জনসভায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করবে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। যুদ্ধ
‘মেঘনা দুস্তর বাধার মতো দাঁড়িয়ে আছে মিত্রবাহিনীর জন্য। হেলিকপ্টার দিয়ে মিত্রবাহিনী পেরুলো মেঘনা। হাজার হাজার গ্রামবাসী ছুটে এলেন। রাশিয়ান ট্যাংকে কাছি দিয়ে বেঁধে টেনে তুললেন ওপারে। এদিকে বিমান আক্রমণে রেডিওর ঢাকা কেন্দ্র স্তব্ধ। স্টিমারে করে পাকবাহিনী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লো।
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর। এই দিনে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর। মুক্তিযুদ্ধকালে দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একটি শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল।